মিন্টুসারেং।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে হাঁটা শুরু করেছি
আমি এখনো হেঁটে চলেছি নিরন্তর,
দিনের আলো পেরিয়ে সূর্য এখন মধ্য গগনে
কিছু ক্ষনের জন্যে থেমেছিলাম
তখন ছিলাম মাতৃজঠরের ক্রান্তিকালের
ম্লান আলোয়, বিকালের প্রচ্ছায়ায় আপ্লোত গৌধুলি।
নদী পাড়ের বিষণ্ণ মাঝির সাথে বসেছিলাম
সবুজ ঘাসের পাড়ে,আমাদের মাথা ছুয়ে
উড়ে গেলো একঝাঁক গাং – শালিক উত্তরে।
মাঝিকে শুধালাম, মাঝিভাই কেমন আছে?
‘আমাদের জীবন- নদী’
অদ্ভুত সে। সে বিকেলের ম্লানহাসি,হেসেছিল মাঝি,
সোনা রোদ আমার পা ছুয়ে নেমে গেলো ধীরে,
মেঘনার ঘোলাজলে।
দৃষ্টিতে ভেসে থাক নিঝুমদ্বীপের স্বর্ণালি ছায়া
মনছুটে যায় মনপুরায় এ যেন গাঙচিল পাখি।
বিষণ্ণ বিকেল কার কাছে গেলাম?
সে আমি এখনো বুঝিনি,আমিতো চলেছি হেঁটে
পৃথীবির প্রথম মানুষ, আদম যেভাবে হেঁটেছে,
চন্দ্রহীন রাত্রি পেরিয়েছি অমাবস্যার আলোয়
হেঁটে চলেছি এখনো পৃথীবির পথে,
যেমন হেঁটেছে ‘ম্যাক্সিম গোর্কি’
মাতৃহীন অনাথ বালক, হাঁটে প্রতিদিন লোকালয়
আমাদের চারপাশে,বেদনার অমিশ্রিত রঙে।
মনভাংগা পানশি জূড়ে কালো মেঘ ছুয়ে যায়
অবারিত বৃষ্টির প্রান্তর, ছুয়ে যাওয়া দিগন্তপানে
শুধু অস্তরাগের খেলা,হেঁটেতো চলেছে,
মেঘ ভেজা অন্তর,
কেটেছে কত দিন, চোখ জুড়ে থাকা প্রানন্ত সবুজ।
হেঁটেতো চলেছি আমি দুরন্তর, বালক অবুঝ।
একদিন সকলই শেষ হবে
আমার এই হেঁটে চলা নিরন্তর থেকে যাবে।
৩০ঃ০৫ঃ২০২০ খৃষ্টাব্দ।
Leave a Reply