নোয়াখালী প্রতিনিধি
মাদক ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ এবং বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির রদবদল করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কাদের মির্জা তার ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে রদবদলের কথা উল্লেখ করেন। এতে সেখানে তিনি যে অপরাজনীতির কথা বলেছেন, তিনি গঠনতন্ত্রের কোন ধারা মোতাবেক করলেন তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা, সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পোস্টে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের কমিটিতে আছে সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরওয়ার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহেদুর রহমান তুহিন। আর বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি শামছুদ্দিন নোমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল মানিক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহাজ উদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ফয়সাল, বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মহিরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যাহ হামিদ। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুর রহমান আরিফ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হৃদয়, বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক আইনুল মারুপ।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, মাদক ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যেই কমিটিগুলোতে এ রদবদল করা হয়েছে। কেউ মানুক বা না মানুক এ কমিটিগুলো কাজ করবে।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুবলীগের কোনও কমিটি বিলুপ্ত বা কাউকে বহিষ্কার করতে হলে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন লাগে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের কমিটির ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের এ নিয়মটি মানা হয়নি। কোনও ব্যক্তির সিদ্ধান্তে কমিটি বিলুপ্ত বা কাউকে বহিষ্কার করা যায় না।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা কমিটি জেলা কমিটিকে অবহিত করার কথা। এখনও পর্যন্ত জেলা কমিটি কিছুই জানে না। তাই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারছি না।
Leave a Reply