জুয়েল রানা লিটন : নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দালালের চরম উপদ্রব বৃদ্ধির অভিযোগ ওঠেছে। আর দালালের দৌরাত্ম্য ও উপদ্রবে দৈনন্দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হ”েছন।
সংশ্লিষ্ট দালালদের বিষয়ে সরেজমিনে সঠিক খোঁজ নিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হয়েছেন ওই হাসপাতালের তত্বাবধায়ক নুরুল আমিন। তিনি চিঠিতে চিহ্নিত ১৮ দালালের অন্যতম আমির হোসেন, সোহরাব, হাফেজ, বেচা, মিলন (১), মিলন (২), ফরহাদ, রিপন, ইউসুফ, সেলিম, সাদ্দাম, লিটন, স্বপন, মানিক, রুমন, তুহিন ও আরিফসহ অন্যান্য দালালের বিষয়ে জরুরী ও প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহনের জন্যে জেলার পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনসহ সরকারের বিভিন্ন মহলে লিখিতভাবে অনুরোধ করেছেন। অবশ্য এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমি চিঠি অনুযায়ী ব্যব¯’া নেবো।
সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক নুরুল আমিন একপত্রে দালাল ও হাসপাতালের কোন কর্মচারী জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে জরুরী ব্যব¯’া গ্রহণ করতে গত ২৫ নভেম্বর লিখিতপত্রে পুলিশ সুপার বরাবরে অনুরোধ করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওসব দালালের উৎপাত দিনদিন আরো বেড়ে চলছে। ফলে হাসপাতালের সাধারণ চিকিৎসা ব্যব¯’া চরমভাবে বাধাগ্রস্তসহ নানা প্রতিকুল পরিবেশ বিরাজ করছে।
এদিকে, গতকাল সুবর্ণচর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সহিদ উল্যাহ জানান তার স্ত্রীকে প্রসবজনিত ব্যথায় ভর্ত্তি হতে হাসপাতালে এসেছেন। এখানে আসার পর হাসপাতালের ফটকে উৎপেতে থাকা এক দালাল তাকে বলেছেন, সরকারী হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা নেই। তাই নিরাপদে প্রসব উদ্ধার হতে গেলে জেলার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্ত্তি হওয়ার পরামর্শে দিয়ে ওই হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। তিনি বলেন, পরবর্তীতে ওই হাসপাতালে তার রোগীর বিল এসেছে ৪৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, আমি গরীব মানুষ। এতো টাকা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানালে তারা আরো ক্ষেপে যান। পরবর্তীতে, তাদের দাবিকৃত টাকা ধার কর্জ করে পরিশোধ দিয়েই হাসপাতাল থেকে মুক্ত হতে হয়।
Leave a Reply