নয়া সকালবিনোদন প্রতিবেদক:
তুমি আমার চাঁন্দ, আমি চাঁদেরি আলো, যুগে যুগে তোমায় আমি ভাসবে ভালো…এক সময় তরুণদের মুখে মুখে ছিল চাঁদনি সিনেমার এই গানটি। অভিনয়ে ছিলেন নাঈম ও শাবনাজ। অবাক, কি মিল গানে! বাস্তবেও তাই হলো। সত্যিকার অর্থেই নাঈমকে যুগ যুগ ধরেই ভালোবাসায় আগলে রাখলেন শাবনাজ। এখনো আছেন ভালোবাসায়।
নাঈমের ভালোবাসাতেও নেই কমতি। বিয়ে করেছেন শাবনাজকে। এখনো পর্যন্ত শক্ত বাহুতলে বেঁধে রেখেছেন। নেই কোন স্ক্যান্ডেল। অথচ অভিনয় জগতে প্রেম-বিয়ে নিয়ে কত না বিরহ! কিছুদিন যেতে না যেতেই হয়ে যায় বিচ্ছেদ। কিন্তু নাঈম-শাবনাজ জুটিতে এখনো ছিড় ধরেনি। বর্তমানেও সিনেমার সেই অভিষেক জুটির মতোই আবদ্ধ রয়েছেন।
নবাব পরিবারেই জন্ম নেন অভিনেতা নাঈম। নবাব সলিমুল্লাহ খানের বংশধর। বাবার হাত ধরে বহুবার গিয়েছিলেন আহসান মঞ্জিলে। এখন তিনিও বাবা। তাদের সংসারে রয়েছে দুই কন্যাসন্তান,
নামিরা ও মাহদিয়া। বড় মেয়ে নামিরা নাঈম এখন কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। এনভায়রনমেন্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজিতে গ্র্যাজুয়েশন করছেন নামিরা। ছোট মেয়ে মাহদিয়া নাঈম এ লেভেল সমমানের পরীক্ষা দিয়েছেন আগা খান একাডেমি থেকে। ভালো গানও গেয়ে থাকেন মাহদিয়া।
ঢাকার মগবাজারে বড় হলেও নাঈমের হৃদয়জুড়ে আছে গ্রাম। নানা বাড়ি কাছেই বাবার ক্রয়কৃত বাড়ি দেলদুয়ারের পাতরাইল গ্রামে। তার মাও ছিলেন জমিদার বংশের। টাঙ্গাইলের করোটিয়া জমিদার বাড়ির মেয়ে। ‘৯৪ সালে নাঈমের বাবা মারা যান। সে থেকে নাড়ীর টানটা আরও জোরাল হয়ে উঠেছে। সেখানেই তিনি নানা কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছেন। পুকুরে মাছে চাষ, আম, লিচু, কাঁঠাল ইত্যাদি ফলের বাগান, পশুর খামার, কৃষি চাষাবাদ সবই করছেন নাঈম। জড়িয়ে পড়েছেন ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে ।
Leave a Reply